মনোহারী ডাল ভাপা




ডালের সঙ্গে কি বাঙালির আজকের সম্পর্ক? মঙ্গলকাব্য জুড়ে ছড়িয়ে নানা ডালের কথা। আর ভাপার সঙ্গেও বাঙালির সখ্য আজকের নয়। কত রকমের ভাপার সন্ধানই না রয়েছে বাংলার হেঁশেলে। শীতটা বেশ জমিয়ে পড়েছে। যাকে বলে এক্কেবারে কাঁপিয়ে দেওয়া শীত। এমন শীতে দুপুর বেলা গরম গরম ভাতের সঙ্গে যদি মনোহারী ডাল ভাপা জোড়ে, তাহলে তো রাজযোটক একেবারে। এই ‘মনোহারী ডাল ভাপা’ বাংলার এক ঐতিহ্যবাহী পদ। স্বাদে অমৃত, তবে রাঁধতে গেলে রেসিপি পড়তেই হবে খুঁটিয়ে।


উপকরণ :

ছোলার ডাল- ১কাপ

আদাকুচি- ১/৪ চামচ

লঙ্কা- ৫টা

পোস্ত- ১ চামচ

সরষে- দেড় চামচ

কোরানো নারকেল - আড়াই চামচ

হলুদগুঁড়ো- ১ চা-চামচ

লঙ্কাগুঁড়ো- ১ চা-চামচ

গরম মশলাগুঁড়ো- সামান্য

ঘি- সামান্য

সরষের তেল, নুন, চিনি পরিমাণমতো





পদ্ধতি :

ছোলার ডাল অন্তত তিন থেকে চার ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।ভালো করে জল ঝরিয়ে ডাল, আদাকুচি, নুন ও একটা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ডালের পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।একটি চওড়া পাত্রের সারা গায়ে ঘি লাগিয়ে ডালের পেস্টটি মণ্ড আকারে পাত্রে ঢেলে দিতে হবে। এবার, পাত্রটি ঢাকা দিয়ে একটি বড়ো হাঁড়িতে বা কড়াইতে সামান্য জল দিয়ে সেটিকে ভাপে সিদ্ধ করতে বসিয়ে দিতে হবে।

মিনিট দশ-বারো সিদ্ধ হওয়ার পর ঢাকনা তুলে ডালের মণ্ডটি উল্টে পাঁচ মিনিট মত সময় ধরে ফের ভাপিয়ে নিতে হবে।

এবার ওই ভাপা-ডালের মণ্ডটি একটি চওড়া থালায় ঢেলে ঠান্ডা হতে দিতে হবে এবং অন্যদিকে পোস্ত, সর্ষে ও নারকেলের একটি পেস্ট তৈরি করে নিয়ে একটি টিফিন কৌটোতে ওই পোস্ত-সর্ষে-নারকেলের পেস্ট, এক কাপ জল, সব গুঁড়ো মশলাগুলো নুন, চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে আবারও ডালের মিশ্রণটা বাটির মধ্যে বসিয়ে দিয়ে উপরে সর্ষের তেল ও কাঁচালঙ্কা দিয়ে কৌটোর ঢাকনা আটকে আবার হাঁড়িতে বা কড়াইতে জল দিয়ে মিনিট পনেরো ভাপিয়ে নিতে হবে।

এরপর ঠাণ্ডা হলে কৌটোর ঢাকনা খুলে গরম ভাতে পরিবেশ করতে হবে এই সুস্বাদু মনোহারী ডাল ভাপা।









Comments