কড়াইশুঁটি/মটরশুঁটির কচুরি




কচুরির কথা শুনলেই খিদের পরিমাণ যেন অনেকটাই বেড়ে যায়, তাতে সেটা যদি আবার হয় কড়াইশুঁটি বা মটরশুঁটির কচুরি তাহলে তো আর কথাই নেই; নানা ধরনের কচুরি হয়তো মাঝে মাঝেই বাড়িতে হয়েই থাকে কিন্তু এই কড়াইশুঁটির কচুরি সাধারণত হয়ে থাকে শীতকালে কারন শীতকালেই বাজারে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কড়াইশুঁটি পাওয়া যায়। তাহলে দেরি না করে চটজলদি রেসিপিটি দিয়ে দেওয়া যাক।


উপকরণ :- 

মটরশুঁটি - ৫০০ গ্রাম 

ময়দা - ২কাপ 

গোটা মৌরি - ১/৪ চা চামচ 

আদাবাটা - ১চা চামচ 

কাঁচালঙ্কা বাটা - ২/৩টে

রোস্টেড জিরে গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ 

ঘি - ১ টেবিল চামচ

লঙ্কার গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ 

হলুদ গুঁড়ো - ১/৪ চা চামচ 

নুন পরিমাণ মতো 

চিনি - ১/৪ চা চামচ 

আর  

সাদা তেল (ডুবো তেলে কচুরি ভাজবার জন্য যতটা লাগে)






পদ্ধতি


প্রথমে মটরশুঁটি ছাড়িয়ে কাঁচা বেটে নিতে হবে।

এরপর ঘি, আর পরিমান মতো নুন দিয়ে ময়দাতে খুব ভালো করে ময়ান দিয়ে নিতে হবে। ময়ান দেওয়া হলে অল্প অল্প জল দিয়ে ময়দাটা এমনভাবে মাখতে হবে যাতে খুব শক্ত বা খুব নরম না হয় নাহলে বেলার সময় খুব অসুবিধা হবে এবং কচুরিও ফুলবে না। এবার মাখা ময়দাটা ১৫ মিনিট মতো ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে।

এরপর কচুরির পুর বানানোর জন্যে কড়াই গরম করে তেল দিয়ে তার মধ্যে দিতে হবে মৌরি, আদা বাটা আর কাঁচালঙ্কা বাটা; ওগুলো মোটামুটি ভাজা হয়ে এলে ওর মধ্যে এক এক করে দিতে হবে মটরশুঁটি বাটা, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, চিনি, জিরে গুঁড়ো আর নুন। সব উপকরণ খুব ভালো করে তেলের মধ্যে মিশিয়ে ভেজে নিতে হবে এবং মটরশুঁটির ভেজা ভেজা ভাবটা টেনে গিয়ে শুকনো শুকনো হলেই পুর তৈরি হয়ে যাবে। পুরটা তৈরি হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিতে হবে।

এবার, কচুরি বানানোর জন্য মাখা ময়দাটা থেকে অল্প অল্প নিয়ে লেচি কেটে নিতে হবে। এরপর একটা লেচি নিয়ে প্রথমে গোল করে পুর দেওয়ার জন্য গর্ত করে তার মধ্যে সামান্য তেল বুলিয়ে নিয়ে মটর শুঁটির পুর দিয়ে দিতে হবে। এবার এটা ভালো করে মুড়ে আবার গোল করে নিতে হবে যাতে ভেতরের পুর এক্কেবারে চেপে ঢুকে যায়। এরপর একেকটা করে পুরভরা বল নিয়ে তেলে ডুবিয়ে নিয়ে লুচির আকারে বেলে নিতে হবে। তবে বেশি চাপ দিয়ে না বেলে হালকা চাপে বেলতে হবে যাতে ভেতরের পুর বেরিয়ে না আসে। এরপর ভালোভাবে তেল গরম হলে সবকটা লেচি এক এক করে বেলে একটা একটা করে ওই গরম তেলে ছাড়তে হবে এবং একপিঠ ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে উল্টে দিয়ে অপর পিঠটাও সমানভাবেই ভাজতে হবে। দু' পিঠ সমান ভাজা হলে তেল ঝরিয়ে তুলে নিয়ে আলুর দম আর পাটালি গুড়ের সাথে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।






Comments